Monday, 13 October 2014

একটি দিন

যে  দেশের  মাটিতে  বারবার  হানা  দিয়েছে  বিদেশীরা অতুল সম্পদের  লোভে  আর  নিজেদের কীর্তি স্থাপন করে নিজেদের  কায়েম করতে চেয়েছে  সে  দেশে  তো দেখার  শেষ  হতে  পারেনা। সর্ব  ধর্ম  সমন্বয়ের  দেশ  ভারত বর্ষ। তার ই  রাজধানী  দিল্লী। ঘুরে  ফিরে  দেখেও শেষ হয়না ,আশা মেটেনা।
                                                                                         এবারে  দেখলাম  লোধী বাগ ,বাংলা সাহিব ,নেহেরু স্টেডিয়াম ,ইন্ডিয়া গেট ,রাষ্ট্রপতি ভবনের আলোকে সজ্জিত পথ। মুঘল স্থাপত্য এবং সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ লোধিবাগ। এর আগে হুমায়ুন টম্ব দেখেছিলাম। ভালো লেগেছিল। ৩০০ একর জমির ওপর এই বাগিচার বিভিন্ন দিক আমাকে মুগ্ধ করেছে। সেকাল একাল মিলেমিশে একাকার। গম্বুজের ভিতরে স্তব্ধ ইতিহাস ,চারপাশে আধুনিক হার্বাল প্ল্যাট ,বনসাই লেকের মাঝে দুধ সাদা হাঁসেদের জলকেলি অফুরন্ত জানা অজানা পাখিদের কলকাকলী ,বিশাল অরণ্যের মাঝে উঁচুনিচু পায়েচলা পথ ,সুন্দর বনবিতান। খুব ভালো লেগেছে আমার।
                                                                                  বাংলাসাহিব। এর আগে কোনো গুরুদ্বারায় যাইনি আমি..অমৃত্স্বরের স্বর্ণ মন্দিরের ছবি দেখেছি ,প্রায় তারই মত। অবাক হলাম তাদের করসেবা বা মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে। যেকোনো জাতের যেকোনো মানুষের জুতো নেয়ার জন্য সম্ভ্রান্ত মহিলা পুরুষ হাতজোড় করে লাইন দিয়ে বিনীত ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।  ঘিয়ে তৈরী হালুয়া ভোগ আর অনেক জায়গায় ঠান্ডা পানীয় জলের জলসত্র। ঝকঝকে স্টিলের বাটিতে জল বিতরন। প্রত্যেকটি বাটি ধুচ্ছে সার্ফ বা ভিম দিয়ে ভালো ঘরের মহিলা ও পুরুষেরা। গম্বুজের ভিতরের
কারুকাজ সুন্দর। সোনার কিনা বুঝলামনা। মেঝেতে পরিস্কার কার্পেট পাতা.. ওদের সম্প্রদায়ের গান বা ভজন হচ্ছে স্নিগ্ধ সুর,তাল,লয়ে। পাশেই বিশাল সরোবর ,তাতে মাছ খেলে বেড়াচ্ছে। আমরা পায়ের পাতা ভেজাচ্ছিলাম ঠান্ডা জলে। পড়ন্ত সূর্য তখনও আবীর ছড়ায়নি ,বড় সোনার থালার মতো হেলে রয়েছে আর তার প্রতিচ্ছবি সরোবরের জলে। পশ্চিম পারে দাঁড়িয়ে দেখছি বাংলাসাহিবের প্রতিচ্ছবি সরোবরের জলে।কি অপূর্ব সে দৃশ্য। সামান্য মোবাইল ক্যামেরাতে ধরলাম সে ছবি।
                                       ইন্ডিয়া গেট এর কাছে আসতে আসতে সন্ধ্যে নেমে এলো ক্রমশ সব আলো জ্বলে উঠলো। রাজপথ ধরে আরো এগোলাম ,দেখলাম অমর জ্যোতি। শহীদ দের উদ্দেশ্যে যা জ্বলছে। পিছনে গেটের নীচে তিনটি পতাকা। ভারতের নৌ সেনা ,স্থল সেনা ও বায়ু সেনার উদ্দেশ্যে। উল্টো দিকে ফিরতেই সোনা রঙের আলোর মালায় ঢাকা রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার ঝলমলে রাজপথ। আলোকের এই ঝর্ণাধারায় স্নাত হতেহতে ফিরে এলাম মেয়ের সি.আর পার্কের বাড়ীতে।
                                                           

1 comment:

  1. valo laglo, tabe tomar lekha to er theke anek anek anek gun valo.........taratari nijer form e fire eso......bahudin pare ebar man vare jabar mato kichu pabar ashay railam........tomar lekhar mato valo kono lekha anekdin parini.......r shono, majhe majhe purono diary theke kichu kichu ekhane dekhte paboto?

    ReplyDelete