Friday, 31 October 2014

prokriti

                     প্রকৃতি                                                                                    
                 
                     বসি একা আনমনে ,পূবের জানালা কোনে ,দৃষ্টি পথ পরে ছড়িয়ে ,
                     কোন এক অজানা লতা সুখাবেশে আছে সেথা,পথিপাশে তরুবুক জড়িয়ে।
                                                কিশোর কিশোরী যত,যুবা শিশু যায় তত,যায় কত রিক্সা ও সাইকেল,
                                               বাইক উড়ায়ে ধূলি,ঠেলাদের গলাগলি পাখিরা বসায় বেশ মাইফেল।
                    অপরূপ রূপে সাজি,জড়ায়ে যে পরগাছি,বৃক্ষের হয়ে গললগ্না ,
                    আমি তারে চেয়ে দেখি,হিংসেতে মরিমরি,বসে আছি হয়ে হৃদি ভগ্না।
                                              না ঢালুক কেউ জল,হয় তবু ফুল,ফল,আগাছার ঝোপ নিজে বেড়ে যায়.
                                              খালে জল তিরতিরে,সে আগাছা নতশিরে,জলের স্পর্শ ঠিক পেয়ে যায়।
                    এই সব দেখি যত,ভাব আসে অবিরত,মন চায় আরো কিছু লিখতে,
                    তৃপ্তি আসেনা তবু,আজ আমি চাই শুধু,প্রকৃতির থেকে কিছু শিখতে।
                                             প্রকৃতি সুন্দর,অপরূপ,মনোহর,ডুবে যাওয়া যায় যদি সেখানে,
                                             হয়ত কিছুক্ষণ,ব্যথা হয় উপশম,শান্তি আসে বুঝি মননে।
                   প্রকৃতির কোলে আমি,শিশু হতে ভালবাসি,কান পাতি ঝিরিঝিরিহাওয়াতে ,
                  একটুকু অবকাশে,চেয়ে দেখি নীলাকাশে,জীবনের মানে চাই খুঁজতে।
                                             বিশালতার হাতছানি অনুভবে পাই আমি,চাইনা ঘরে আর  রহিতে ,
                                            সেদিন আসবে কবে ?সব কিছু ভুলে যবে,মিশে যাবো প্রকৃতির কোলেতে।
....................................................................................................................................................................

Thursday, 30 October 2014

vabna.

                       অন্য কোথাও শিউলী ফুটেছে ,আমার বাগানে নেই,
                       যতদূরেই থাক তুমি ,জানি,রয়েছ খুব কাছেই।
                                           কাশের গুচ্ছ বিছানা পেতেছে পথের দুধারে তাই,
                                           এমন কোমল বিছানা পাতার সাধ্য আমার নাই.
                       আকাশের নীলে মেঘেদের খেলা,এই অপরূপ ছবি ,
                       তুলি বা কলমে রাখব ধরে হইনি এমন কবি.
                                            তোমার চলার পথে,আমার ইচ্ছে করে তাই,
                                            কাশের গুচ্ছ হয়ে রই পথে,যদি,তোমার পরশ পাই.
                        বকুল শিউলী হয়ে যদি রই,বিছায়ে মাটির বুকে,
                        তুমি বেশ ভুলে হেঁটে চলে যাও ,আমি রইব সুখে।
                                              আকাশের মেঘ থেকে যদি আমি বৃষ্টি হয়েই পড়ি ,
                                              ছাতা ফেলে তুমি ভিজে যাও যদি,লজ্জায় আমি মরি.
                                                                                                                          ভাবনা
........................................................................................................................................................

Wednesday, 29 October 2014

sangee.

          
                                     
                             সঙ্গী ,ওরা আমার সঙ্গী।                                                                                                                      ওরা ,কাগজ বা ভাঙ্গা বোতলের টুকরো কুড়োনোর দল ,                                                                                        সময় ভোর চারটে।                                                                                                                                          হালকা অন্ধকারের চাদর জড়ানো শহরটা ,
                             তখনও ঘুমায়।
                             বয়স্ক শরীর নিয়ে আমি প্রাতভ্রমনে বেরই।
                             থাকেন ,আমারই মত আরো বৃদ্ধ বৃদ্ধা।
                             তখনই ওরা আমার সঙ্গী হয়।
                             একদিন একটি কিশোর ,
                             বাপে মায়ে দেয়া নাম হয়ত একটা ছিল,
                            এখন সে কাগজ কুড়ানিয়া।
                            দ্রুত চলে যাচ্ছিল ,বললাম ----------
                            ''এত তাড়া কিসের?''
                           ''আরো অনেকে চলে আসবে যে ---''
                              কিছু পরে ঘুরে এসে হঠাতই ;
                            আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল --
                            ''আমি ভিখিরী নই,চাকরও নই,
                             আমি কাগজ কুড়াই।''
                   -------কি পরিস্কার ভাবে সে বুঝিয়ে দিল ,
                            এই বয়সেই সে স্বাবলম্বী।
                            কি দৃঢ়তা তার এই কিশোর মনে..
                            আর একদিন দেখি ,
                           ময়দানের গাছতলায় ওরা সবাই।
                            বললাম --
                         ''কিরে আজ কাজ করবিনা?'
                         '' না আজ যে বিশ্বকর্মা পূজো ''
                         ''প্রতিমা কোথায় তোদের ?'
                        ''আমাদের প্রতিমা থাকবে কি করে?
                        আমরা যে বিভিন্ন জাতের।
                      কেউ হিন্দু,কেউ খ্রিস্টান ,কেউ মুসুলমান।
                      তাই---এইতো ঘট ,ঘটেই পূজো হবে.'.
'
                      আমার দিনের শুরু হওয়ার সঙ্গীরা ,
                      আমার পড়ন্ত বেলায় আবারও বুঝিয়ে দিল ,
                      ওরা সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্ধে।
.....................................................................................................................................................
               রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতকার অবলম্বনে।
......................................................................................................................................................                                                                                                                     

Monday, 27 October 2014

তোমার দান

বাতাসে পূজোর গন্ধ এখনও ভেসে বেড়াচ্ছে।নীল আকাশে বরফ টুকরোর মত মেঘেদের ভেসে থাকা। চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে চোখে পড়েছে লাইনের দুধারে কাশ ফুলের বিছানা। সুন্দর দৃশ্য গুলো ক্রমশ সরে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মের জনারণ্যের কোলাহলে।সবাই ব্যস্ত ,সবাই অসহিস্নু হঠাত ট্রেনের থমকে দাঁড়ানোতে। কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম সিঁদুরের টিপ বেয়ে সরল রেখার আকার নিছে।প্রত্যেকেরই ভ্রু আর কপালের মাঝখানে তিন চারটে ভাঁজ -মুখে বিরক্তির কুঞ্চন অতি স্পষ্ট। স্টেশনের মাইকের ঘোষনা বিরক্তির পারদ বাড়িয়ে দিল আরো দু তিন ধাপ। ......................হঠাত প্ল্যাটফর্মে নেমে দাঁড়িয়ে থাকা সদা ব্যস্ত মানুষ গুলোর ত্রস্ততায় বোঝা গেল ট্রেন সিগন্যাল পেয়েছে।আমাদের মহিলা কামরার মহিলারা বিশেষ করে যারা বসতে পেরেছেন আবার মেতে উঠলেন সংসারের খোশ গল্পে।সন্তানদের নামি দামী স্কুলের আদব কায়দার বিশ্লেসন ,সদ্য পুজোর কে কত বেশী দামের এবং কতবেশী কাপড় আদায় করতে পেরেছেন তার হিসেবে। সঙ্গে অবশ্যই অন্যান্যদের নিন্দা।মহিলা কামরার অন্দরমহলে কি না পাওয়া যায়?আনাজের পসরা থেকে শুরুকরে; মটর,বাদাম,শায়া ব্লাউজ স..ব.. মনটা বিরক্তিতে ভরে উঠছিল।এমন সময় সমস্ত সরবতা নির্লজ্জতা ছাপিয়ে কানে ভেসে এল সুন্দর রিনরিনে সুরেলা গলার আর্তি '''''আঘাত সে যে পরশ তব ,সেইতো পুরস্কার ''সব কলরব ছাপিয়ে সবার চোখ এখন খুঁজছে সেই সুরের কেন্দ্রীয় চরিত্রটিকে।আমার চোখ গিয়ে পড়ল আর দুটো বন্ধ চোখের পাতায়। একটি কিশোরী প্রশান্ত হাসিতে; মুখ ভরিয়ে হাত পেতে রেখেছে সামনের দিকে।'''যখন থাকে অচেতনে এ চিত্ত আমার----------- ------------পুরস্কার।'' .বুঝিনি সে জন্মান্ধ।যখন বুঝলাম তখন অবাধ্য অশ্রু আমার বাধ মানছেনা। সে জানেনা জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ থেকে সে বঞ্চিত। কখন পেরিয়েছে তার ছেলেবেলা,কখন পায়ে পায়ে এসেছে তার কৈশোর ,কিছুই সে জানেনা। এই নির্মলতা পেরিয়ে কখন সে পা দেবে যৌবনের আঙ্গিনায়। বর্ষার নদীর মতই ছাপিয়ে যাবে তার যৌবন।তার অন্ধকারের দুনিয়া কোনো হিসাবই রাখেনা জাগতিক .কালের।মহাকালের কি নির্মম অবিচার।অথচ  কোনো নালিশ তার নেই কারো কাছে।নীরবে সব অবিচার মাথা পেতে নিয়ে ভিখখার ঝুলি এগিয়ে ধরেছে ---আলোর শিশু থেকে বড় হওয়া মানব পুত্রদের দিকে।
                           মানুষের দরবারে বিতরণ করে যাচ্ছে একটি বাণী ---আঘাতই তাঁর পুরস্কার।সমস্ত আঘাতঅভিমান কষ্ট বিরক্তি অতিক্রম করে বুকটা আমার ব্যথায় টনটন করছে।হায়রে;এই নিস্পাপ কিশোরী জানলনা কেমন দেখতে তার গর্ভধারিণী মা কেমন দেখতে তার বাবা?অসীম রহস্যে ভরা এই পৃথিবীর রূপ,রস,বর্ণ কিছুরই সে স্বাদ গ্রহণ করতে পারলনা।তবুও নালিশ নেই তার পরম পুরুষের কাছে।এই নিঠুর আঘাত কে সে পুরস্কার বলে মেনে নিয়েছে।আমার এবার চোখ পড়ল আইলাইনার লাগানো চোখ ,সুন্দর পালিশ করা নখ ,সুসজ্জিতা মহিলাদের দিকে,যারা অনেক অভাব অভিযোগ বিনিময় করতে করতে চলেছেন অসন্তুষ্ট মুখে।আমার নিজের হাতের ভারী ব্যাগটা আরো ভারী লাগছে বিষন্নতায়।ভাবছি নিজের সুস্থ চোখ দুটো লুকোই কোথায়?বালিকা অন্ধ সে আমাকে দেখতে পাচ্ছেনা,কিন্তু আমি যে দেখতে পাচ্ছি তার বাড়িয়ে দেওয়া হাতে কারো দান,একটি অচল টাকা।
                                                                    সে ভাবছে এ তাঁরই দান..মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে গেয়ে চলেছে '''আঘাত সে যে পরশ তব সেইতো পুরস্কার '''.কিছুক্ষণ নীরবতার পর আবার ঠেলাঠেলি,নড়াচড়া পরের প্ল্যাটফর্ম এসে গ্যাছে। বাঁচারতাগিদে সে কিশোরী ও চঞ্চল। অন্য কামরায় যেতে হবে তাকে। মুখে তার স্মিত হাসি কন্ঠে সেই গান আর হাতের মুঠোয় অচল পয়সা। .............তাঁরই দান...
...................................................................................................................................................................... ,     

Saturday, 25 October 2014

অবসরে...........

             
                            গঙ্গার ঘাটে স্নান করে শিশু,নরনারী ,
                         চোখ দাও ,কিছু দূর,নদীতীর ছাড়ি ,
                                       চায়ের দোকান পাবে,পাবে টিকিটের ঘর ,
               তার পরে পাবে অটো বা টাক্সি গাড়ী।
                ছেড়ে আসি ঘাট ,
                 খুলে দিই এ মনের রুদ্ধ কপাট ,
                                   নদী বুক ভরে আছে কানায় কানায় ,
                                   উছলিয়া বুঝি সব ভাসা তেই চায়..
                 হেমন্তের মেঘ ভাসে আকাশের বুকে ,
                 সেখানেই বিহগেরা উড়ে যায় সুখে।
                                     জলেতে পড়েনা আজ মেঘেদের ছায়া ,
                                     যান চলাচলে, থির নেই, তার কায়া,।
                  ভাসে ডিঙ্গি এ নদীরও বুকে।
                  হাল ঠেলে,পাল তুলে চঞ্চল আবেগে।
                                        সাথে তার এক বোঝা বাঁশের ভেলা ,
                                        তাহাতেই মাঝি দেয় লগির ঠেলা।
                  যাবে কোন অজানায়--কোন সে দূরে ,
                   জানা নেই উত্তর ,রই চুপ করে।
                                        মেঘ দেখি ,জল দেখি,দেখি মানুষের চলা ,
                                       এমনি করেই কাটে অবসর বেলা।
..............................................................................................................................................

Friday, 24 October 2014

.শতরূপা

        

ঊমা কেঁদে কয় ,নবমী নিশিকে শেষ হয়োনা আজ রাতি ,,
          ....তবুও রজনী বিদায় নিয়েছে ,নিভায়ে সকল বাতি।
                                                    ঊমা ফিরছেন কৈলাসে,পতি তার পথ চেয়ে ,
                                                    তবুও তাঁহার অশ্রু নামে চোখের কাজল ধুয়ে।  
পতি সোহাগে সতী সোহাগিনী ঊমাপতি সেই শিব।
তবুও কখনও মহাকালী হয়ে মহামায়া কাটে জিভ।
                                                    ক্রুদ্ধরোষে জ্ঞান হারা তিনি,,থামাতে তাহাকে পতি ,
                                                   পথি মাঝে শিব শুয়ে থাকেন সুন্দর হয়ে অতি।
বুঝি পাপ জাগে অন্তর মাঝে,,তবুও শিবের বুকে ,
মহামায়া ঊমা শিবকালী হয়ে থাকেন মহাসুখে।
                                                    জগন্মাতা জগত ধাত্রী মুখ ভরা তাঁর হাসি,
                                                   ক্রোধ ভুলেছেন রোষ ভুলেছেন স্বামী সোহাগে আসি।
আবার তাইতো অবতীর্ণা মর্ত্যলোকের বুকে ,
মর্ত্যবাসীরা তাঁরই বন্দনায় জেগে ওঠে মহাসুখে।
                                                    বসন্তে বাসন্তী তিনি ,শরতে শারদীয়া ,
                                   তাঁর কি কখনও আমাদের কাছে হতে পারে বিজয়া ???????
.......................................................................................................................................
                                                           

Thursday, 23 October 2014

from 1980's old Diary doccument

      বিজন বাতাসে বোধহয় সেদিন বেজেছিল বনসুর
                মাতাল ছিল মধুপের দল ,ভ্রমরা অতি মধুর।
       বড় আনন্দে ছন্দে ছন্দে নেচেছিল বিহগেরা ,
                আকাশে বাতাসে জ্যোছনা সকাশে হেসেছিল যত তারা
        এসেছিলে প্রিয়তম।
        ভাসিয়ে তরী বাজিয়ে ভেরী বলেছিলে' 'তুমি মম ''..
        নুপুরে নিক্বনে সুমধুর তানে চাপা পড়ে গ্যাছে সে কথা ,
        আকাশের নীলে মুখখানি তুলে খুঁজেছি কত যে বারতা।
                                          দিনের গভীরে আকাশের বুকে লুকিয়ে থাকে যে তারা
                                          রাত শেষে আর খোঁজেনি কেহ ,অভিমানে দিশাহারা।
                                          নদীর জল হয় উচ্ছল ,জ্যোছনা বালুর চরে ,
                                          রাতজাগা পাখি সারারাত জাগি একেলা ঘুরে মরে।
                                          দূরে কোন ছেলে ,বনবিথী তলে বাঁশিতে বেহাগ তোলে
                                          ঘরছাড়া মন পাগল উতল যেতে চায় সব ফেলে।
      নিশীথ কাননে,একা আনমনে,ফুটেছে কামিনী জুঁই,
      বেল,রজনী,করে কানাকানি,লুটায় চাঁপা ভুঁই।
      জোনাকীর দল বড় চঞ্চল,আঁধারে ঝিলিক তোলে ,
     যদি কেউ ভাবে ,পেয়েছে দিশা ,ক্ষণিক মনের ভুলে।
     বাতাসের সুরে বহু দূরে দূরে আলোর রেখাটি ধরে ,
     বিহগেরা যেথা খেলাঘর পেতে সুখ অনুভব করে ,
     যেথায় ছন্দে পরমানন্দে শিখী মেলেছিল পাখা ,
      সেথায় এখনও রুপালী জ্যোছনা পড়েনিত মেঘেঢাকা।
                                                         সেথা খুঁজলেনা প্রিয়তম ?
                            অতি ভীরু মনে সংগোপনে
                             বলেছিনু ,,,,'তুমি মম '.

Saturday, 18 October 2014

অন্য আকাশের নীচে

             যদি অন্য আকাশের নীচে ,আবার হতাম মুখোমুখি
                              চিন্তামগ্ন চোখে ,হয়ত সামনে এসে
             বলতে ------কবে ,কোথায়
                                তোমায় দেখেছি --বলো দেখি???
            তুমি কি সেই স্রোতস্বিনী নর্মদা ?
                               অথবা কূলভাঙ্গা গঙ্গা ??
            নয়ত দূরের সেই লেনা,কলরাডো
                                অথবা নাইজার ,সেন্টলরেন্স ??
              তুমি কোন বিদেশিনী ?
             কেন শুধু মনে হয়
                                    তোমাকে যে চিনি।
              .......কিছুতেই আসবেনা মোর নামটি মুখে।
              চেনা যে হয়েছে মনে
                                        এই ভেবে প্রতি ক্ষনে
              চেয়ে থাকি তোমাপানে -------
              জানিনা এ বসে থাকা সুখে না দুঃখে ?
             -----------------------------------------
                                                                               

Monday, 13 October 2014

একটি দিন

যে  দেশের  মাটিতে  বারবার  হানা  দিয়েছে  বিদেশীরা অতুল সম্পদের  লোভে  আর  নিজেদের কীর্তি স্থাপন করে নিজেদের  কায়েম করতে চেয়েছে  সে  দেশে  তো দেখার  শেষ  হতে  পারেনা। সর্ব  ধর্ম  সমন্বয়ের  দেশ  ভারত বর্ষ। তার ই  রাজধানী  দিল্লী। ঘুরে  ফিরে  দেখেও শেষ হয়না ,আশা মেটেনা।
                                                                                         এবারে  দেখলাম  লোধী বাগ ,বাংলা সাহিব ,নেহেরু স্টেডিয়াম ,ইন্ডিয়া গেট ,রাষ্ট্রপতি ভবনের আলোকে সজ্জিত পথ। মুঘল স্থাপত্য এবং সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ লোধিবাগ। এর আগে হুমায়ুন টম্ব দেখেছিলাম। ভালো লেগেছিল। ৩০০ একর জমির ওপর এই বাগিচার বিভিন্ন দিক আমাকে মুগ্ধ করেছে। সেকাল একাল মিলেমিশে একাকার। গম্বুজের ভিতরে স্তব্ধ ইতিহাস ,চারপাশে আধুনিক হার্বাল প্ল্যাট ,বনসাই লেকের মাঝে দুধ সাদা হাঁসেদের জলকেলি অফুরন্ত জানা অজানা পাখিদের কলকাকলী ,বিশাল অরণ্যের মাঝে উঁচুনিচু পায়েচলা পথ ,সুন্দর বনবিতান। খুব ভালো লেগেছে আমার।
                                                                                  বাংলাসাহিব। এর আগে কোনো গুরুদ্বারায় যাইনি আমি..অমৃত্স্বরের স্বর্ণ মন্দিরের ছবি দেখেছি ,প্রায় তারই মত। অবাক হলাম তাদের করসেবা বা মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা দেখে। যেকোনো জাতের যেকোনো মানুষের জুতো নেয়ার জন্য সম্ভ্রান্ত মহিলা পুরুষ হাতজোড় করে লাইন দিয়ে বিনীত ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।  ঘিয়ে তৈরী হালুয়া ভোগ আর অনেক জায়গায় ঠান্ডা পানীয় জলের জলসত্র। ঝকঝকে স্টিলের বাটিতে জল বিতরন। প্রত্যেকটি বাটি ধুচ্ছে সার্ফ বা ভিম দিয়ে ভালো ঘরের মহিলা ও পুরুষেরা। গম্বুজের ভিতরের
কারুকাজ সুন্দর। সোনার কিনা বুঝলামনা। মেঝেতে পরিস্কার কার্পেট পাতা.. ওদের সম্প্রদায়ের গান বা ভজন হচ্ছে স্নিগ্ধ সুর,তাল,লয়ে। পাশেই বিশাল সরোবর ,তাতে মাছ খেলে বেড়াচ্ছে। আমরা পায়ের পাতা ভেজাচ্ছিলাম ঠান্ডা জলে। পড়ন্ত সূর্য তখনও আবীর ছড়ায়নি ,বড় সোনার থালার মতো হেলে রয়েছে আর তার প্রতিচ্ছবি সরোবরের জলে। পশ্চিম পারে দাঁড়িয়ে দেখছি বাংলাসাহিবের প্রতিচ্ছবি সরোবরের জলে।কি অপূর্ব সে দৃশ্য। সামান্য মোবাইল ক্যামেরাতে ধরলাম সে ছবি।
                                       ইন্ডিয়া গেট এর কাছে আসতে আসতে সন্ধ্যে নেমে এলো ক্রমশ সব আলো জ্বলে উঠলো। রাজপথ ধরে আরো এগোলাম ,দেখলাম অমর জ্যোতি। শহীদ দের উদ্দেশ্যে যা জ্বলছে। পিছনে গেটের নীচে তিনটি পতাকা। ভারতের নৌ সেনা ,স্থল সেনা ও বায়ু সেনার উদ্দেশ্যে। উল্টো দিকে ফিরতেই সোনা রঙের আলোর মালায় ঢাকা রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার ঝলমলে রাজপথ। আলোকের এই ঝর্ণাধারায় স্নাত হতেহতে ফিরে এলাম মেয়ের সি.আর পার্কের বাড়ীতে।
                                                           

Friday, 10 October 2014

সূচনা

এ নদীর নেই কিছু  আজ ,
  হারিয়েছে  সব  তার  সাজ
শুধু  আবেগের   চোরাবালী
এখনও  হয়নি  খালি ,
এখনও  করেনি  মোরে শূন্য ,,,
দুহাত  বাড়িয়ে  তাই
আজও  ডাক  দিয়ে  যাই
বলি ,প্রভু  করো  মোরে  পূর্ণ।